বাঙালি জাতি সর্বদাই শান্তিপ্রিয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : সেনাপ্রধান

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বাঙালি জাতি সর্বদাই শান্তিপ্রিয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর জানিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অদ্যাবধি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অগ্রদূত হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম প্রধান শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’টি আমাদের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষীদের মহান আত্মত্যাগ ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৯ মে বিশ্বব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস’ উদযাপন হয়ে আসছে। বাঙালি জাতি সর্বদাই শান্তিপ্রিয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অদ্যাবধি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অগ্রদূত হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, ১৯৮৮ সালে শান্তিরক্ষা মিশনে যাত্রা শুরুর পর হতে সুদীর্ঘ তিন যুগের বেশী সময় ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৫ জনের বেশি শান্তিরক্ষী মোট ৪০টি স্থানে ৫৬টি শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সর্বমোট ৬০৯২ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত আছেন। যার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রায় ৫ হাজার সদস্য বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন রয়েছে।

 

অনেক ত্যাগ ও তিতিক্ষার বিনিময়ে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আজকের এই গৌরবময় অর্জন সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অভিযানিক দায়িত্ব পালনে উন্নত পেশাগত গুণাবলি প্রদর্শনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালনে সর্বদাই নিরপেক্ষ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ কারণেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা সকলের কাছে বিশেষভাবে প্রশংসিত ও স্বীকৃত-যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে।

 

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে জীবন উৎসর্গ করেছেন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪১ জন সেনাসদস্য বিভিন্ন অভিযানে আহত হয়েছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেই সকল বীর শান্তিরক্ষীদের-যারা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমি সকল জীবন উৎসর্গকারী সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তাদের অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ বিশ্ব দরবারে সুনামের সুউচ্চ অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত।

 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথমবারের মতো ডিআর কঙ্গোতে তিনটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য একটি নতুন মাইলফলক। গত ৪ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক-এ চলমান শান্তিরক্ষা মিশনে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নির্মিত ‌‘তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর উদ্বোধন করা হয়-যা বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করেছে

 

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহারের জন্য পেরুর সশস্ত্র বাহিনীকে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী যান দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরাও এখন আগের তুলনায় অধিকহারে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের গ্রহণযোগ্যতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সার্বিকভাবে সুপ্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ সেনাসদস্য, উন্নত সরঞ্জাম, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং উন্নত মূল্যবোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মিশন এলাকায় জনসাধারণ ও জাতিসংঘের আস্থা অর্জনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

 

আগামী প্রজন্মের কাছে একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব উপহার দিতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মন্তব্য করে সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের সকল শান্তিরক্ষীদের জন্য রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, দোয়া ও শুভ কামনা। আমি আশা করব, সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা বিশ্ব শান্তি রক্ষায় মানবতার পক্ষে পেশাগত দক্ষতার সাথে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। একইসাথে আমি জাতিসংঘের সকল সদস্যের সম্মিলিত অংশগ্রহণে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস সফল হোক এই কামনা করি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবার সহায় হোন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» এনসিপির সঙ্গে ৩ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশের দূতাবাস প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

» ডিসেম্বরের মধ্যে যারা নির্বাচন চাচ্ছেন, তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করছেন: নাসীরুদ্দীন

» শিবিরের ওপর হামলার নিন্দা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান রাফির

» যারা চোরা পথ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, তারা নির্বাচন চায় না: ড. মঈন খান

» ‘বিএনপি বা অন্য দলের সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার দাবি ভিত্তিহীন’

» জুলাইয়ে লড়েছি বুলেটের বিরুদ্ধে, এবার লড়বো ব্যালটের বিপ্লবের জন্য: ড. মাসুদ

» জামায়াতকে নয়, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই : ডা. শফিকুর রহমান

» এনএসসির ক্ষমতাবলে বিসিবির পরিচালক হয়েছেন বুলবুল: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

» প্রবাসীদের টাকায় তাদের জন্য দেশে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে: আসিফ নজরুল

» শিক্ষার্থীরা যে মার্ক অর্জন করেছে তাই পাবে, কোন খয়রাতি মার্ক দেবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বাঙালি জাতি সর্বদাই শান্তিপ্রিয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : সেনাপ্রধান

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বাঙালি জাতি সর্বদাই শান্তিপ্রিয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর জানিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অদ্যাবধি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অগ্রদূত হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম প্রধান শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’টি আমাদের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষীদের মহান আত্মত্যাগ ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৯ মে বিশ্বব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস’ উদযাপন হয়ে আসছে। বাঙালি জাতি সর্বদাই শান্তিপ্রিয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অদ্যাবধি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অগ্রদূত হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, ১৯৮৮ সালে শান্তিরক্ষা মিশনে যাত্রা শুরুর পর হতে সুদীর্ঘ তিন যুগের বেশী সময় ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৫ জনের বেশি শান্তিরক্ষী মোট ৪০টি স্থানে ৫৬টি শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সর্বমোট ৬০৯২ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত আছেন। যার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রায় ৫ হাজার সদস্য বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন রয়েছে।

 

অনেক ত্যাগ ও তিতিক্ষার বিনিময়ে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আজকের এই গৌরবময় অর্জন সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অভিযানিক দায়িত্ব পালনে উন্নত পেশাগত গুণাবলি প্রদর্শনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালনে সর্বদাই নিরপেক্ষ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ কারণেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা সকলের কাছে বিশেষভাবে প্রশংসিত ও স্বীকৃত-যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে।

 

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে জীবন উৎসর্গ করেছেন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪১ জন সেনাসদস্য বিভিন্ন অভিযানে আহত হয়েছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেই সকল বীর শান্তিরক্ষীদের-যারা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমি সকল জীবন উৎসর্গকারী সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তাদের অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ বিশ্ব দরবারে সুনামের সুউচ্চ অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত।

 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথমবারের মতো ডিআর কঙ্গোতে তিনটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য একটি নতুন মাইলফলক। গত ৪ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক-এ চলমান শান্তিরক্ষা মিশনে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নির্মিত ‌‘তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর উদ্বোধন করা হয়-যা বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করেছে

 

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহারের জন্য পেরুর সশস্ত্র বাহিনীকে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী যান দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরাও এখন আগের তুলনায় অধিকহারে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের গ্রহণযোগ্যতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সার্বিকভাবে সুপ্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ সেনাসদস্য, উন্নত সরঞ্জাম, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং উন্নত মূল্যবোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মিশন এলাকায় জনসাধারণ ও জাতিসংঘের আস্থা অর্জনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

 

আগামী প্রজন্মের কাছে একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব উপহার দিতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মন্তব্য করে সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের সকল শান্তিরক্ষীদের জন্য রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, দোয়া ও শুভ কামনা। আমি আশা করব, সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা বিশ্ব শান্তি রক্ষায় মানবতার পক্ষে পেশাগত দক্ষতার সাথে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। একইসাথে আমি জাতিসংঘের সকল সদস্যের সম্মিলিত অংশগ্রহণে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস সফল হোক এই কামনা করি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবার সহায় হোন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com